ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের টিপস
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0932 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল, বিশেষ করে মার্কেটে চলমান বুলিশ প্রবণতার মধ্যে। এই কারণেই, আমি ইউরো বিক্রি করিনি। তবে, 1.0906 লেভেল থেকে রিবাউন্ডের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা হলে প্রায় ৩০ পিপস লাভ হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রতিশ্রুতিশীল ফলাফল সত্ত্বেও, ইউরোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হ্রাস পায়নি। বিনিয়োগকারীরা সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং জার্মানির নতুন আর্থিক নীতিমালা এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করার পরিকল্পনার দিকে নজর রেখে ইউরো বিক্রি করতে তাড়াহুড়ো করছে না। একই সময়ে, সাম্প্রতিক জিডিপি এবং মুদ্রাস্ফীতির ফলাফল অনুযায়ী মার্কিন অর্থনীতির সম্ভাব্য মন্দার আশঙ্কায় মার্কিন ডলার চাপের মধ্যে রয়েছে। ফলস্বরূপ, একাধিক উপাদান—ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির কারণে ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, ইউরোজোনের শক্তিশালী অর্থনৈতিক সূচক এবং ইসিবির নীতিমালা সংক্রান্ত প্রত্যাশা—ইউরোর চাহিদাকে সমর্থন করছে।
আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোজোন থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, বিশেষ করে ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) এবং কোর CPI। এই সূচকগুলো নিঃসন্দেহে ইসিবির ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি নির্ধারণ করবে, যা ইউরোর মূল্যের ওপর প্রভাব ফেলবে। মুদ্রাস্ফীতির ফলাফল এখনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তগুলোর মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে।
যদি ইউরোজনের মুদ্রাস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে মন্থর হয়, তাহলে ইসিবি আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করতে পারে, যা সুদের হার আরও কমানোর সম্ভাবনা তৈরি করবে। অন্যদিকে, যদি মুদ্রাস্ফীতির চাপ উচ্চ মাত্রায় বজায় থাকে, তাহলে ইসিবি সম্ভবত কঠোর অবস্থান অব্যাহত রাখবে এবং মুদ্রানীতি শিথিল করার সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকবে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবো।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.0967-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0937-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.096-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়, বিশেষত যদি ইউরোজোনের সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলের প্রভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে।গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0920-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0937 এবং 1.0967-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0920-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0891-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। মুদ্রাস্ফীতি তীব্রভাবে হ্রাস পেলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0937-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0920 এবং 1.0891-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।